মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর গত বছর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কোনো কারণে চলতি বছরও সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। 

বিদায়ী বছরের শেষ দিন বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রাষ্ট্রদূত ও মিশনপ্রধানদের কাছে পাঠানো চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, আমাদের একটি বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির ওপর একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কারণে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ জন্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সময়ে সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাদের হালনাগাদ তথ্য ও নির্দেশনা দেবে।

আরও পড়ুন : অস্থির সময়ে কূটনীতিতে ভারসাম্যের কৌশলে থাকবে সরকার

রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠানো চিঠিতে সাতটি অগ্রাধিকারে গুরুত্ব দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, যেকোনো কূটনৈতিক মিশনের মৌলিক দায়িত্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন কাজ এগিয়ে নেওয়া। তবে বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বাড়তি কাজের চাহিদা রয়েছে।

এর পরদিন অর্থাৎ নতুন বছরের শুরুর দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা বা মিথ্যা প্রচারণায় ঢাকার নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে না থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও বাহিনীটির সাবেক-বর্তমান ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

এনআই/এসকেডি