বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকলে তা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেকোনো বিষয়ে কোনো ধরনের দুর্বলতা থাকলে সেটি সমাধানে সরকার আন্তরিকতার পরিচয় দেবে বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে, আমরাও একই ধরনের মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করি। তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করে, আমরাও করি। আমাদের মধ্যে কোথাও গ্যাপ থাকতে পারে, দুর্বলতা থাকতে পারে। তারা যদি বন্ধু হিসেবে সেটি আমাদের বলে, সেটি আমাদের জন্য লাভজনক। আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করব। 

উদাহরণ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে তারা একটি বক্তব্য দিয়েছিল। আমরা দেখেছি, সেখানে কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা সেটির কারেকটিভ অ্যাকশন নিয়েছি।

দেশের মানবাধিকার বা গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা? জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, আমরা খুব ইতিবাচক। গত তিন বছরে আমার জানামতে কোনো গুম হয়নি। এক সময় র‌্যাবের কিছু বাড়াবাড়ি ছিল। যার জন্য র‌্যাবের  কয়েকশ লোকের প্রমোশন হয়নি বা তাদের শাস্তি হয়েছে। আমাদের পাঁচ আঙুল সমান না। কোনো কোনো লোক অসুবিধার সৃষ্টি করে। তবে এ বিষয়েও আমরা সজাগ রয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসবে, আমরা এসব বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে কিছু আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের বানোয়াট তথ্য দেয়। এর ফলে ব্যক্তি বিশেষ হয়তো প্রভাবিত হয়। কিন্তু আমার মনে হয় না সরকার প্রভাবিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট গত ৫০ বছরে আমাদের সুসম্পর্কের কথা বলেছেন এবং আগামী ৫০ বছরে আমরা আরও উন্নত অবস্থায় যেতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের দেশে সুযোগও বাড়ছে, যার কারণে তারাও আসছে। আমরাও ভালো সম্পর্ক গড়তে চাই।

এনআই/কেএ