গাড়ির কাগজপত্রের বর্ধিত নবায়ন ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতি।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহাম্মেদ মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পণ্য পরিবহন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দেশের জন্য অপরিহার্য শিল্প। এই শিল্পের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন দেশের স্বার্থে ও দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সবার বিবেচনায় রাখা জরুরি। যখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিজনিত কারণে এবং আমদানি ও রপ্তানি কমে যাওয়ায় এই শিল্পে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়কর অবস্থা বিরাজ করছে; এমন সময় কোন যুক্তিতে, কার স্বার্থে হঠাৎ করে কোনো আলোচনা ছাড়া গাড়ির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ফি ৩৪৫ এর স্থলে ৫৭৫ টাকা, কনট্রিবিউশন টু ফিনান্সিয়াল অ্যাডভান্স ফান্ড ৮৬৯ টাকা, ফিটনেস ১ হাজার ৬০৫ টাকার স্থলে ২ হাজার ৬৯৭ টাকাসহ যাবতীয় কাগজপত্রের ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আরও বলা হয়, এমনিতেই পণ্য পরিবহনের মালিকরা টাকার অভাবে গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তখন অনাকাঙ্ক্ষিত এই বৃদ্ধি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে আঘাত হেনেছে। যা এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

দাবি জানিয়ে বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় কাগজপত্রের নবায়ন বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

সকালে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে এ দাবি উঠে আসে। সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন মজুমদার, শহীদুল্যাহ পাটওয়ারী, যুগ্ম সম্পাদক হোসেন আহম্মেদ মজুমদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক  মো. শাজাহান, জাহাঙ্গীর আলম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম খান ভুট্ট, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুছ ছাত্তার, ক্রীড়া সম্পাদক নানু পাটওয়ারী প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস