পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ফাইল ছবি

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান আমরা জানি না। তবে পত্রিকায় আমরা পড়েছি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস হতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের সঙ্গে  সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

আরও ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

১৫ জানুয়ারির মধ্যেই প্রকল্প পাস হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তাদের (নির্বাচন কমিশন) অবস্থান আমরা জানি না। তবে পেপারে আমরা পড়েছি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম কেনার প্রকল্প পাস হতে হবে। শুধু একনেক সভায় এগুলো অনুমোদন হয় ব্যাপারটি তা নয়। তাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। ১৫ জানুয়ারি কোনো লাল রেখা নয়, এটা ১৮ জানুয়ারি হতে পারে, ২০ জানুয়ারিও হতে পারে। এমনকি কালকেও ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন হতে পারে। মোট কথা খোলা মন নিয়ে আমরা নিয়ম-কানুনের মধ্যেই ইভিএম নিয়ে কথা বলছি। নির্বাচন কমিশনের সব প্রয়োজন আইনের আলোকে বিচার করা হবে। যতো শিগগিরই সম্ভব, আমরা ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন করব।

ইভিএম প্রস্তাব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা কতো ইভিএম দেব একনেক সভার আগে পিইসি সভায় আলোচনা হয়। এখানে আমরা উপস্থিত থাকি নির্বাচন কমিশনের লোকজনও উপস্থিত থাকেন। সবাই আলোচনা করেই এটার অনুমোদন দেব।

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেকোনো সরকার টাকা হিসেব করে খরচ করে, সুইজারল্যান্ড হোক আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক। যখনই কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসে তখনই আমরা এগুলো আইনের আওতায় দেখভাল করি। নির্বাচন করতেই হবে। সাংবিধানিকভাবে বলা আছে, নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে। আমরাও কিন্তু সেই পথে আছি। যা কিছু করি উভয়ের সঙ্গে আলোচনা করে করি। তাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

এসআর/এসকেডি