আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি জনগণের সেবা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বুধবার (১১ জানুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের সহকারি মন্ত্রী চেন ঝোয়া। এসময় তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন>>এপ্রিলে জাপান সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আমরা যদি ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে আমরা দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখব ও জনগনের সেবা করব।

বৈঠকে শেখ হাসিনা জানান, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, কারণ তার সরকার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বাঙালির অগ্রযাত্রায় চীনের সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশটির সহায়তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
 
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ব প্রথম কর্ণফুলী ট্যানেলের মতো বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে চীনের সহায়তা প্রদানের কথা স্মরণ করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিশেষ করে চট্রগ্রামের মিরেরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরীতে বড় আকারের চীনা বিনিয়োগের আহ্বান জানান। 

তিনি সারাবিশ্বে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আবারো আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। 

চীনের ভাইস মিনিস্টার বলেন, তার দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেবে। 

তিনি আরও বলেন, তার দেশ ‘সবার সাথে বন্ধু, কারো সাথে বৈরিতা নয়’—বাংলাদেশের এই বৈদেশিক নীতির প্রতি সমর্থন জানায়। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এই অঞ্চলের দেশ সমূহের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর ব্যবস্থা।

তিনি আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ২০১৬ সালে তার দেশের প্রেসিডেন্টের সফরকালে একটি কৌশলগত অবস্থানে পৌঁছেছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে তার দেশের  প্রেসিডেন্টের দেয়া সকল প্রতিশ্রুতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। 

চীনা মন্ত্রী সিপিসি এবং তাদের প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিং এর পক্ষ থেকে পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি সিপিসি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দল দু’টির মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

অনুষ্ঠানে অ্যাম্বেসেডর এট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।  

কেএ