নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে গ্রেফতার করা হ‌বে, এমন মর্মে পৌরসভায় পুলিশ তা‌কে ঘি‌রে রেখেছে বলে গুজব ছড়া‌নো হ‌য়ে‌ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যদিনগুলোর মতোই তিনি শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে সময় কাটিয়েছেন।

কাদের মির্জা বেলা ৮টা ৩০ মিনিটে বসুরহাট বাজার ঘুরে বেড়িয়েছেন। এরপর সকাল নয়টার দি‌কে তিনি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের তার এক সমর্থকের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখান থেকে এসে তিনি নামাজ পড়ার উদ্দেশে বেরিয়ে হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি চরহাজারির এক‌টি দাওয়া‌তে রয়েছেন।

কা‌দের মির্জার ব্যক্তিগত সহকারী সাজু ঢাকা পোস্ট‌কে বলেন, ‘কাদের মির্জা এখন চরহাজা‌রি‌তে এক‌টি দাওয়াতে রয়েছেন। কিছুক্ষণ পর তার পৌরসভায় আসার কথা রয়েছে।

এদিকে গত কয়েকদিনের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে পুলিশ। তবে বৃহস্পতিবার রা‌তে আব্দুল মির্জার গ্রেফতার হ‌বে মর্মে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জা‌হেদুল হক র‌নি ঢাকা পোস্ট‌কে বলেন, ‘মেয়র কাদের মির্জাকে অবরুদ্ধ করে রাখার তথ্য সঠিক নয়। নিরাপত্তার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই এখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হ‌য়ে‌ছে। তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছেন।’

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কে অবরুদ্ধ করে রেখেছে? আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। বসুরহাট পৌর নির্বাচনের আগে থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকে। এ পরিস্থিতির কেন্দ্রে রয়েছেন নির্বাচনে জয়ী মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। নিজের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে নিয়ে তিনি একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সবশেষ ৯ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজি চালক নিহত হন। ওই ঘটনায় বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে একটি হত্যা মামলা করতে চেয়েছিলেন নিহতের ভাই এমদাদ হোসেন। এতে ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কিন্তু মামলাটি গ্রহণ না করে পর্যালোচনায় রেখেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

এনআই/এমএইচএস