টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হচ্ছে আজ। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই ইজতেমা মাঠের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন মুসল্লিরা। এর ফলে ঢাকার সকল সড়ক পথের পাশাপাশি কমলাপুর রেলস্টেশনেও উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে ৷ 

রোববার (১৫ জানুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকেই কমলাপুর রেল স্টেশনে এমন চিত্র দেখা যায়।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমলাপুর থেকে ইজতেমাগামী যাত্রীদের জন্য দশটি বিশেষ ট্রেন চালু রয়েছে। ইজতেমার ময়দানে যাওয়া এবং আসার টিকেট মাত্র ত্রিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রচুর যাত্রীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত আসনের ঘাটতি রয়েছে।

ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে যাওয়া মো. মিঠু মিয়া বলেন, বাসাবো থেকে সকাল সকাল বের হয়েছি। তবুও সিট না পেয়ে  ট্রেনের ছাদে করে ইজতেমা ময়দানে যাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা সকল পাপ থেকে মুক্ত করুক এমন দোয়াই থাকবে।

ট্রেনের ছাদে যেতে কষ্ট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মিঠু বলেন, আল্লাহর রাস্তায় যেতে কষ্ট কিসের? সারাজীবন কত কষ্ট সহ্য করেছি, মানিয়ে নিয়েছি। কিছুটা কষ্ট হলেও ভালো লাগছে। আল্লাহ আমাদের এ কষ্টকে কবুল করলেই খুশি৷ 

রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার থেকে ইজতেমা ময়দানগামী আরেক যাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, ট্রেনের ছাদে করে ইজতেমায় যাচ্ছি। শীতে ঠান্ডা বাতাস থাকলেও তাতে কিছুই হবে না। আল্লাহর দ্বীনের জন্য যে কোনো কষ্ট মেনে নিবো। 

এদিকে তৃতীয় দিন মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগি ও কোরআন হাদিসের আলোকে আলোকিত জীবন গড়ে তোলার বয়ান শুনে অতিবাহিত করেছেন। রোববার ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয় বয়ান। বয়ান শুরু করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। তার বয়ানের পরই হেদায়েতি বয়ান হওয়ার কথা রয়েছে। হেদায়েতি বয়ান শেষ হলে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। হেদায়েতি বয়ান ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইলের সুরা সদস্য কারি মোহাম্মদ জোবায়ের।

এমএম/এমজে