র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীটির সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কবে নাগাদ তুলে নেওয়া হবে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দেননি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রিডেনর।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর র‌্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক গুমের অভিযোগের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাসে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন ডোনাল্ড লু। আমরা বাংলাদেশ সরকারের এ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারকে কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন তদন্ত করতে আমরা উৎসাহিত করি। ঢাকা সফরে ডোনাল্ড লু র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সময়সীমার ইঙ্গিত দেননি।

ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার (১৫ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিবের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন ডোনাল্ড লু। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তারা বলেছেন, এটা তাদের দেশে একটা জটিল প্রক্রিয়া। এটা একটু সময় নিতে পারে। তবে তোমরা যে প্রক্রিয়ায় অ্যাডভান্স হচ্ছো, আমার মনে হয় এটা ভবিষ্যতে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এ একটা ইঙ্গিত দিয়েছে।

রোববার রাতে লু ঢাকা ছাড়ার পর সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। লু’কে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, তিনি (ডোনাল্ড লু) বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন, একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিগগিরই র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

এনআই/কেএ