চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকায় একটি চারতলা ভবন হেলে পড়েছে। তবে কোনো বাসিন্দা না থাকলেও ভবনের মালামাল নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

জানা গেছে, চারতলা ভবনটিতে দোকান ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। বুধবার সকালে দোকান খোলার সময় এক দোকানদার ভবনে ফাটল ও হেলে পড়ার বিষয়টি ভবনের মালিককে অবহিত করেন। পরে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। এ খবর জানাজানি হলে ভবনটি থেকে মালামাল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। 

সর্বশেষ তথ্য মতে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও মালামাল সরানোর কাজ চলছে। আর দুপুর ১২টার দিকে পাঁচলাইশ থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিমও সেখানে আসে।

ভবনটির নিচতলায় শেখ ফরিদ মোটর ড্রাইভিং স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ড্রেন খননের জন্য এর আগে ভবনটির প্রায় অর্ধেক ভেঙে ফেলা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে ড্রেনে পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছিল। হয়তো ওই সময় ভবনটি হেলে পড়ছে। সকালে আমরা খবর পেয়ে মালামাল সরিয়ে নিয়েছি।

ভবনটির মালিক খোরশেদ আলম বাপ্পি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই ভবনে কেউ থাকে না। এখানে সব দোকান ও অফিস। সকাল ৭টার দিকে হেলে পড়ার বিষয়টি শুনেছি। এরপর মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশেই জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি ড্রেন খননের কাজ চলছে। ওই কারণে ভবনটি হেলে পড়ছে বলে মনে হয়।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আবু মোতালেব তালুকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কেউ আটকা পড়েছে কি-না এ জন্যই দ্রুত আসছি। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন। উনারা পৌঁছানোর পর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে কি-না সিদ্ধান্ত নেবেন।

জেডএস/ওএফ