সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা আমাদেরই স্বজন। তৃতীয় লিঙ্গের হয়ে জন্মগ্রহণ করাতে তাদের নিজেদের কোনো দোষ নেই। প্রকৃতির কারণেই তাদের এ কষ্ট। তাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক আর্ট ও চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আয়োজন করে ‘বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ নামের একটি সংগঠন। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা পরিবার ও সমাজের নিকট থেকে বঞ্চনার শিকার। তাদের ক্রন্দন ও ভালোবাসা আমাদের সেভাবে স্পর্শ করে না। বন্ধু’র মতো সংগঠনগুলো দের আশ্রয়স্থল, সুখে-দুঃখে তাদের আশা-ভরসার জায়গা। এসব মানবিক সংগঠনগুলো তাদের মাতৃস্নেহে, ভাইয়ের আদরে ও বোনের ভালোবাসা দিয়ে কাছে রাখছে। এর মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে তারা কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলোচক ও পারফর্মার হিসেবে তাদের জন্য ৫-১০ মিনিটের স্লট রাখা যেতে পারে।

তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, তাদের নিয়ে প্রতি মাসে অনুষ্ঠান আয়োজন করুন। এতে আমি উপস্থিত থাকব। প্রতিমন্ত্রী এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস প্রদান করেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম হিরো। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হাবিবুর রহমান, মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন ল্যাফাভ ও ইউএনএইডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সায়মা খান।

প্রতিমন্ত্রী পরে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

এমএইচএন/কেএ