‌‘মানুষের জিন্দেগী, দুনিয়ার সবকিছুই ধোঁকা। অনন্ত জীবন তো আখিরাতে। সেখানেই সকলের যাওয়া লাগবে। ছোটবেলা থেকেই তাবলিগের সঙ্গে জড়িত আছি। এটা করেই মরতে চাই।’ এভাবেই বলছিলেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ  নাসির উদ্দিন। ৭৪ বছরের প্রবীণ হলেও রাজধানীর কমলাপুরের জসিমউদদীন রোড থেকে ইজতেমার ময়দানে এসেছেন তিনি। 

বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হলে নাসির উদ্দিন জানান, দীর্ঘদিন একমি ল্যাবরেটরিজে কাজ করেছি। যুবক থাকতে জীবনকে হাতের মুঠোয় করে দেখেছি। এখন বয়স হয়েছে। চাইলেও সবকিছু করতে পারি না। তাবলীগের মেহনতের সঙ্গে আল্লাহ লাগিয়ে রেখেছেন, এই তাবলিগ করেই মরতে চাই।  

ইজতেমার ময়দানে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু সমস্যা তো আছে। কয়েকদিন আগে চিল্লা (আল্লাহর রাস্তায় চল্লিশ দিন সময় লাগানো) দিয়ে এসেছি। তখন এত কষ্ট হয়নি। কিন্তু ইজতেমার ময়দানে খাবার, পানীয়সহ নানা সমস্যা থাকে। বিশেষ করে বাথরুম দূরে হওয়াতে এ সমস্যা আরও বেশি হয়। ওজু গোসলেও লম্বা সারিতে কিছুটা কষ্ট হয়। 

তিনি আরও বলেন, এ বয়সে অনেক কিছুই পারি না। জীবন খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ আখিরাতের প্রস্তুতিতে শুধু ঘাটতি থাকছে। 

এদিকে জামালপুরের ইসলামপুর থেকে আসা আরেক মুসল্লি আলম মাস্টারের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। ৭৫ বছর বয়সেও তাবলিগের মেহনতে ইজতেমার ময়দানে এসেছেন তিনি। 

আলম মাস্টার বলেন, আমি প্রতিবছর ইজতেমায় আসি। এবছরও আসছি। যতদিন বেঁচে আছি আল্লাহর রাস্তায় মেহনতের সঙ্গে থাকতে  চাই। দুনিয়া থেকে আখিরাতের সামানা তৈরি করতে আমাদের পাঠানো হয়েছে। আমরা তো দুনিয়া নিয়েই পড়ে আছি। 

এমএম/এমএ