নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাব্বির (১৫) আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজনে। দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুই জন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাব্বিরের শরীরের ৪২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। 

এর আগে একই ঘটনায় ৯ মার্চ দিবাগত রাতে বিশালের মৃত্যু হয়েছে। ১১ মার্চ দুপুর সোয়া ১টায় মারা যায় মাহফুজুল ইসলাম, পরদিন (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টায় মারা যায় শিশু মিনহাজ (১৮ মাস)।

অগ্নিদগ্ধ মিতার খালু সুলতান জানান, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় মাসদাইরে ৬তলা ভাড়া বাসায় 
ঘুমোতে যায়। ঘুমানোর আগে একটি মশার কয়েল জ্বালাতেই কিছুক্ষণ পরেই পুরা ঘরে আগুন লেগে তারা দগ্ধ হন।
দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ভোরে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। মৃত বিশালের চিকিৎসাধীন স্ত্রী মিতার শরীরের ১৪ শতাংশ ও মেয়ে আফসানার ১০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

মৃত সাব্বির হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শামীমের ছেলে। মৃত সাব্বির ঘটনার চারদিন আগে গ্রাম থেকে খালাতো বোনের বাসায় বেড়াতে এসেছিল।

এসএম