শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ‘একশ বছর আগের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আইনের তফসিল ৩-এর অনুরূপ ২০০৬ সালের শ্রম আইনে পেশাগত ব্যাধির তালিকা সংশোধন করা হবে। দেশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে, সেগুলোতে বিদ্যমান পদ বিবেচনায় পেশাগত ব্যাধির হালনাগাদের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।’

রোববার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিলের-১১ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩-কে সংশোধন করা হবে।’ এজন্য যত দ্রুত সম্ভব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইসিডিডিআরবি ও বিভিন্ন বিভাগ অধিদপ্তরকে সংযুক্ত করে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করার নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা সংশোধনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) আহ্বায়ক এবং উপ-মহাপরিদর্শককে (সেইফটি) সদস্য সচিব করে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কারিগরি সহায়তা দেবে।

সভায় ইতোমধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ক কনভেনশন আইএলও-তে যে মৌলিক কনভেনশন হিসেবে গৃহীত হয়েছে, তার ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রহিম খান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আশরাফ আহাম্মেদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তসলিমা কানিজ নাহিদা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মিনা মাসুদ উজ্জামান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর সাবেক মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল আবু নাঈম মো. শহিদউল্লাহ, শিল্প পুলিশের ডিআইজি জিহাদুল কবির, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ডা. শেখ আখতার আহমদ। এছাড়া আইএলও, বিজিএমইএ-এর প্রতিনিধি, মালিক প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি, জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/এফকে