রাজধানীসহ সারা দেশে চলমান সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোতে মিটার সাজিয়ে রাখা হলেও কোনটিই চালু নেই, যা ভোক্তা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বিষয়ে মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সেমিনারে এমন অভিযোগের কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমি নিজে দেখেছি, সিএনজি অটোরিকশাগুলো মিটারে চলে না। এর বাস্তবতা আমি দেখেছি। মিটার শুধুমাত্র ডিসপ্লেতেই রাখা হয়। এটা একধরনের প্রতারণা। প্রতিদিনই আমরা খবরেও এসব চিত্র দেখি। যাত্রীদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই ঝামেলা হয়, এমনকি হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায়।

সফিকুজ্জামান বলেন, যাত্রীরা যেখানে যেতে চায়, চালক সেখানে যেতে বাধ্য। কিন্তু চালকরা যেতে চান না। এটা নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ শুনতে হয়। এটার বাস্তবতাও আছে। এটা কেন হয়? এটা তো সুস্পষ্ট অনিয়ম।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় সময় দেখি সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী পরিবহনের সিট পরিচ্ছন্ন থাকে না। বৃষ্টির সময় পর্দা থাকে না। অনেক সময় অপরিচ্ছন্ন পর্দা থাকে। ছাউনি ঠিক না থাকা। যাত্রীর নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা (যাত্রী পরিবহনের অংশের) দরজা অভ্যন্তরভাগ হতে যাত্রী কর্তৃক খুলতে না পারা।

ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, মাঝেমধ্যে কিছু সিএনজিতে সবুজ গাছপালা থাকে, সামনে টিস্যু বক্স থাকে, ভেতরে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, দেখে খুবই ভালো লাগে। এক্ষেত্রে ভাড়া ৫ টাকা বেশি নিলেও সমস্যা হয় না।

সেমিনারে সিএনজি চালক, চালক সমিতি ও মালিকপক্ষ, যাত্রী পরিবহন সমিতি ছাড়াও ভোক্তা অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এসএম