রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. সেলিমুজ্জামানের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ধানমন্ডির নায়েম সড়কে তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি।

হামলার বিষয়ে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চলছিল। আমাদের অডিটোরিয়ামের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় শিক্ষকদের একটি কোর্স (২৪ জানুয়ারি) রাতে ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। সেই কার্যক্রম শেষ করে আমার ব্যক্তিগত স্কুটি নিয়ে পুনরায় নায়েমে ফিরছিলাম। এসময় ঢাকা কলেজের শেখ কামাল ছাত্রাবাসের গেটে আসার পর একটি মোটরসাইকেল পেছন এসে আমার গতিরোধ করে ৷ 

এময় মোটরসাইকেল থেকে নেমেই তাদের বাইকে লাগিয়ে দিয়েছি এমন অভিযোগ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। আদতে তাদের মোটরসাইকেলের সাথে আমার কোন ধরনের সমস্যায় হয়নি। পরবর্তীতে নায়েমের পরিচালক পরিচয় দেয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার উপর হামলা করে। আমার মাথায় হেলমেট ছিলো মারধরের পর আমার হেলমেট ভেঙে যায়। এসময় আমার স্কুটিও ভাঙচুর করা হয়েছে। উপর্যুপরি কিল-ঘুষির কারণে মাথায় এবং ঘাড়ে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার মাথা ফেটে গিয়েছে। তাৎক্ষণিক কৌশল অবলম্বন করে কোনরকমে নায়েমে চলে যাই।

নায়েম পরিচালক সেলিমুজ্জামান বলেন, আমি ধারণা করছি হামলায় অংশ নেওয়া দুষ্কৃতিকারীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানার পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ আমি প্রজাতন্ত্রের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে নায়েমের পরিচালক হিসেবে কাজ করে আসছি। এমন ঘটনায় আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। পুরো নায়েম পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার বিচার চাই।

দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল গণি সাধু। তিনি বলেন, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি অভিযোগপত্র জমা হয়েছে। আমরা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে অপরাধী শনাক্তের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

এমন ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনার সাথে আমার কলেজের কোন শিক্ষার্থী জড়িত থাকলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আমরা সহযোগিতা করেছি। আরও সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই তাদের সহায়তা করবো।

আরএইচটি/এমজে