সিভিল প্রশাসন আগের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। সেজন্য সেনাবাহিনী সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। সেনাবাহিনী সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের দায়িত্ব সুন্দর করে সম্পন্ন করতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
 
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে এ কথা বলেন সেনাপ্রধান।

সেনাপ্রধান বলেন, আমার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে পরপর দুই বছর উপস্থিত হওয়াটা এটাই প্রমাণ করে, এটাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন তারা হলেন জেলা প্রশাসক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেকগুলো ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে যেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়। এ কাজগুলো করতে গেলে আমাদের বেসরকারি প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন ছাড়া করা অসম্ভব। 

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি জেলা প্রশাসকদের এ সিগন্যালটা দিয়ে গেলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি; সেনাবাহিনী চাইছে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের প্রদত্ত দায়িত্ব সুন্দর করে সম্পন্ন করতে। গত বন্যার সময়ে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেছেন জেলা প্রশাসকরা। অন্যান্য কাজেরও প্রশংসা করেছেন। আমরাও বলেছি, বর্তমান সেনাবাহিনীর নিচের পর্যায়ে সবার মধ্যে একটা অনুভূতি এসেছে, সিভিল প্রশাসন আগের চেয়ে আমাদের সঙ্গে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। 

সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের মধ্যে কালচারাল ডিফারেন্স থাকতে পারে। কিন্তু উদ্দেশ্য একই। কর্ম পদ্ধতির সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক সময় কিছু কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে। যত আমরা এগুলো দূর করতে পারব, আমাদের কাজের নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে আমরা তত পারফর্ম করতে পারব। 

তিনি বলেন, কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি, সেগুলো আলোচনা করছি। কয়েকজন ডিসি এবং ডিভিশনাল কমিশনার স্পষ্টভাবে বলেছেন, সেনাবাহিনী কত ভালো কাজ করেছে এবং তারা কতটা খুশি। তখন আমি বলেছি, এ কথাটা আমি সেনাবাহিনীর সর্বস্তরে পৌঁছে দেব। এটা তাদের মনোবল বৃদ্ধি করবে এবং ভবিষ্যতে তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়নি। 

এনআই/জেডএস