জরিপ, গবেষণা বা বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়ার সময় মানুষের যেসব ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে, সেগুলোকে সুরক্ষা দিতে শিগগিরই ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, আইনটি বাস্তবায়ন হলে দেখা যাবে যে অন্যান্য দেশও আমাদের অনুসরণ করছে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া বা প্রেস মিডিয়ার সঙ্গে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান পলক।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অনতিবিলম্বে আমরা উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রণয়নের সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং হয়েছে। আশা করছি আমরা অল্পদিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভায় আমাদের প্রস্তাবিত আইনটি তুলে ধরতে পারব।

আইনটি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা থেকে যেসব আপত্তি আমরা পেয়েছি, সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংশোধিত আকারে নিয়ে এসেছি। আমরা আশা করছি উপাত্ত সুরক্ষা আইনটি অত্যন্ত আধুনিক, উদার এবং ভবিষ্যতমুখী হবে। কারণ অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডাটা প্রটেকশনের যেসব রুলস আছে, সেগুলো আমরা স্টাডি করেছি এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে যেসব পরামর্শ পেয়েছি, সবকিছুর ভিত্তিতেই আমরা আইনটিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছি।

নতুন এই আইন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হবে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই আইনের সঙ্গে গণমাধ্যমের কোনো বিষয় নেই। আমরা বলছি যে, বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত যেসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে, তার সুরক্ষা নিশ্চিত করা। আমরা দেখছি অসংখ্য বেসরকারি কোম্পানি সরকারের বিভিন্ন কাজ করে সেসব তথ্য উপাত্ত অনুমতি ছাড়াই দেশের বাইরে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত আমাদের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন, এমনকি দিনদিন এর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলছে।

পলক বলেন, সব ধরনের ডাটা সুরক্ষার জন্য আইনটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই আইনটি পাস হবে, এটি হলে সরকারি বেসরকারি সব ধরনের ডাটার সুরক্ষা হবে। তথ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতে ডিসিদের ভূমিকা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আইসিটি বিষয়ক বিশেষ ক্লাস নেওয়ার জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যাতে সঠিকভাবে কার্যকর হয় তার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার ক্রাইম বিষয়ক সচেতনতা নিয়ে যাতে বিশেষ ক্লাস নেওয়া হয় সেটার জন্য ডিসিদের নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।

টিআই/এসএসএইচ/