চট্টগ্রামের সদরঘাট থানা এলাকায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে মারধর ও ধর্ষণচেষ্টা মামলায় জুনাইদুল হক সিদ্দিকী (৩৫) নামে একজনকে দুইদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিযুক্ত জুনাইদুল সম্পর্কে শ্যালিকা-দুলাভাই।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। 

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, শ্যালিকাকে ধর্ষণের মামলায় জুনাইদুল হককে গত ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাকে আদালতে পাঠিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

অভিযুক্ত জুনাইদুল নগরের বাকলিয়া থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানা বাড়ির বাসিন্দা। তিনি নগরের কোতোয়ালি থানার রিয়াজুদ্দিন বাজারে ব্যবসা করেন। তার বাবার নাম রিজুয়ানুল হক সিদ্দিকী।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে জুনাইদুল সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি ইউনুস মেম্বারের বাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে যান। এদিন সন্ধ্যায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য কম্বল কিনতে ভুক্তভোগীর মা ও ভাবীকে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় পাঠান জুনাইদুল। এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগীর বাবাকে ব্যবসার টাকা আনার জন্য রিয়াজুদ্দিন বাজারে পাঠান। তখন বাড়িতে কেবল জুনাইদুল ও তার শ্যালিকা ছিলেন। তখন ভুক্তভোগী ছাত্রী পড়ালেখা করছিলেন। এসময় জুনাইদুল তার রুমে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। 

একপর্যায়ে জুনাইদুল আগে থেকে ধারণ করা ভুক্তভোগীর গোসলের ভিডিও দেখান। ধর্ষণে বাধা দিলে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর পুনরায় জুনাইদুল তার শ্যালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগীর মেজো বোন ও স্বামী বাড়িতে পৌঁছেন। এরপর জুনাইদুলকে ধরে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় সদরঘাট থানায় তার দুলাভাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ওই মামলায় অভিযুক্ত জুনাইদুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এমআর/কেএ