লাইসেন্স নেই। তারপরও দিনের পর দিন চলছে ৩২টি সিএনজি স্টেশনের কার্যক্রম। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের লাইসেন্স না থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এসব সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ চলমান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চলছে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড।

দেশে চলমান গ্যাস সংকটের মধ্যে কীভাবে এমন সরবরাহ চলমান থাকে সেটা বড় প্রশ্ন। যাতে হতবাক হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক মাহাবুবুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে। 

দুদক সূত্র জানায়, তিতাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এনফোর্সমেন্ট টিমের কাছে মনে হয়েছে, দেশে মোট ৫টি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৪৩টি সিএনজি স্টেশনের লাইসেন্স নেই। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় রয়েছে ২১টি সিএনজি স্টেশন। অভিযানে তিতাস কর্তৃপক্ষ ২১টির মধ্যে ১১টির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ১০টির বিষয়ে যথাযথ জবাব দিতে পারেনি তিতাস কর্তৃপক্ষ। আর লাইসেন্স না থাকলেও অন্যান্য কোম্পানির ২২টি সিএনজি স্টেশনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে লাইসেন্স ছাড়া চলছে ৩২টি সিএনজি স্টেশন।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহসহ অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে দুদক প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছে। পরে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আরএম/জেডএস