বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপ-নির্বাচনে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। এই ছয় আসনের নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। উপ-নির্বাচনে এই আসনগুলো যেন ইভিএমের সমস্যা না হয় সেজন্য যা দরকার তার চেয়ে দেড় গুণ বেশি মেশিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো— ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় উপ-নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে। এই ছয় আসনের ভোট ব্যালটে হচ্ছে না। সব নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। যা দরকার তার চেয়ে দেড়গুণ মেশিন দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বেশি মোতায়েন করা হয়েছে। যথেষ্ট মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা সব আয়োজন করেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতগুলো দপ্তর আছে সবগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা যখন ছিল না, তখনও কিন্তু ভালো ভালো নির্বাচন হয়েছে। আন্তরিকতা ও সততা নিয়ে কাজ করতে পারাটা একটা বড় শক্তি। আমি নিজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গেলাম, বগুড়া-২ আসনে গিয়েছি, ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান সাহেব গেলেন। আমাদের দুজনেরই পর্যবেক্ষণ হচ্ছে— একটা সুন্দর, শক্ত সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা দেখেছি। মাঠ প্রশাসনের তারা বলেছেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। কমিশন যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই নিরপেক্ষ একটা সুন্দর নির্বাচন করব— উনারা আমাদের এইভাবে বলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এক প্রাণ হয়ে সবাই কাজ করলে আশা করি ভালোই হবে। এটাই আমাদের শক্তি। মানে ইউনিটি যেটা, এটা আমাদের শক্তি বলে মনে করছি।

প্রথমবারের মতো আপনাদের কমিশন সিসি ক্যামেরা ছাড়া নির্বাচন করছে, এতে তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা ছাড়া কী হয় এটাও একটা তুলনামূলক পরীক্ষা হতে পারে, যে কী ধরনের রেজাল্ট আসে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের কেবল নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়ে কাজ, তা নয়। সাংবাদিকদের নিয়েও আমরা কাজ করি। আপনারাও যদি একটু সচেতন থাকেন। সবার হাতে মোবাইল। তথ্য পাওয়াটা বোধ হয় কঠিন না। তথ্য পেলে সেটা যদি নির্ভরযোগ্য হয় আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত হয়তো নিতেই পারি। ক্ষমতা তো দেওয়াই আছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা করব কি করব না সে সিদ্ধান্ত নেইনি। আইনে সিসি ক্যামেরার কথা বলা নেই। আমরা ভাবলাম করে দেখি না কী হয়। তাই ব্যবহার করেছি। এছাড়া সংলাপের সময় বিভিন্ন মহল থেকে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সুপারিশও ছিল।

এসআর/এসএসএইচ/