গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

এসময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর ফাতেহা শরীফ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে সই করেন বিজিবি মহাপরিচালক। 

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বিজিবি মহাপরিচালক হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি।

তিনি বলেন, বিজিবি বাংলাদেশের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমেই দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই বিজিবি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে এবং বিভিন্ন সময়ে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে কাজ করে আসছে।

মেজর জেনারেল নাজমুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিজিবির সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বিজিবিকে একটি বিশ্বমানের আধুনিক ত্রিমাত্রিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ফলে বিজিবি এখন জলে, স্থলে ও আকাশপথে যেকোনো অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে।  

বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদন সময় বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরের ‘সীমান্ত গৌরব’-এ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

গত ২৯ জানুয়ারি বিজিবির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

জেইউ/কেএ