আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হবে রমজান মাস। রমজানে ফলের চাহিদা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবে দামও একটু বেশি থাকে। এবার ডলার সংকটের কারণে ফলের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

অন্যদিকে অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত ফলের দাম বৃদ্ধি পেলে কঠোর নজরদারি করবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 

ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফলের দাম গত বছরের তুলনায় এবছর এমনিতেই বাড়বে। এবছর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দাম বাড়তে পারে। এছাড়া জ্বালানি তেলেরও দাম বেড়েছে। সবই কিন্তু ফলের দামের ওপর যুক্ত হতে পারে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) কারওয়ানবাজার জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পাইকারি এবং খুচরা ফল ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা‍য় এ বিষয়গুলো উঠে আসে।

সভায় ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি রমজানে ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন ফল প্রয়োজন হয়। বিদেশি ফল সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরে হারভেস্ট করা হয়। তবে সে সময় আমরা এলসি করতে পারিনি। ব্যাংকগুলো আমাদের এলসি দেয়নি। তবে কতগুলো এলসি করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য এখন আমার কাছে নেই। কারণ এখনও আমাদের শিপমেন্ট শেষ হয়নি। সাধারণ বিদেশি ফল আপেল, কমলা, আঙ্গুরের এলসি দিচ্ছে না। সাধারণ ব্যবসায়ীরা এলসি পাচ্ছে না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমদানিকৃত ফল দ্রুত খালাস করতে পোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সুপারিশ করবো আমরা। গত বছর তরমুজ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছিল, এবছর যেন কোনোভাবেই এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে অতিরিক্ত অযোক্তিকভাবে ফলের দাম বাড়লে ভোক্তা অধিকার কঠিন অবস্থানে থাকবে।

ফলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ফলের দাম গত বছরের তুলনায় এবছর এমনিতেই বাড়তে পারে ডলার ইস্যুতে। এছাড়া জ্বালানি তেলেরও দাম বেড়েছে। সবই কিন্তু ফলের দামের ওপর যুক্ত হবে। তবে এই মূল্যটা যাতে অযৌক্তিক না হয় সে বিষয়ে আমরা লক্ষ্য রাখব।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, গত বছর আমরা আপেল, কমলা, আঙ্গুর, খেজুর আমদানি করতে সুপারিশ করেছিলাম। এবছর এসব বিদেশি ফল আমদানি করতে হয়তো সুপারিশ করব। তবে বেশি দামে থাইল্যান্ডের আমসহ এধরনের বেশি দামের ফল আমদানি না করার জন্য সুপারিশ করা হবে। 

সভায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, রমজানে চাহিদা অনুযায়ী ফল পাওয়া যাবে কি না এই সন্দেহের জায়গা থেকে যদি ফলের দাম বেড়ে যায় তাহলে পর্যাপ্ত ফল না পাওয়াকে একটি বড় অজুহাত হিসেবে নেবেন ব্যবসায়ীরা। তাই আমদানিকৃত ফল পোর্ট থেকে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করতে হবে। 

মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএ