নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা ভুয়া সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে কয়েকটি এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) সংশোধন করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর এনআইডি মহাপরিচালককে ইউ-নোট (আন-অফিসিয়াল নোট) দিয়েছেন ইসি আনিছুর রহমান। এরপর সংশোধিত তিনটি এনআইডি লক করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, কমিশনারের সুপারিশ করা এনআইডির বেশ কয়েকটি আবেদন সংশোধন হয়ে গেছে। তবে স্বাক্ষর জাল করে এনআইডি সংশোধনের সুপারিশ কমিশনার আনিছুর রহমানের নজরে এলে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ‘ইউ নোট’ দেন। এরপর ভুয়া সুপারিশে সংশোধিত তিনটি এনআইডি লক করা হয়।

বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে এনআইডি অনুবিভাগ।

আরও পড়ুন : এনআইডির সঙ্গে সমন্বয় করে পাসপোর্ট সমস্যা দ্রুত সমাধানের সুপারিশ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনআইডি অনুবিভাগের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমিশনারের স্বাক্ষর জাল করে পাঠানো সুপারিশের ভিত্তিতে এনআইডি সংশোধন করা হয়েছে বিষয়টি সত্য। তিনি একটি ইউ নোটের মাধ্যমে তার স্বাক্ষর জালের বিষয়টি জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এজন্য এনআইডির মানবসম্পদ গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : জট খুলতে পারে ‌‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত বিশেষ এনআইডি’র

এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি। আপনি বিষয়টি জানতে এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলুন।

সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের একটি ইউ নোট আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন এনআইডি মহাপরিচালক। ইউ নোটে তিনটি এনআইডি লক করার বিষয়ে নির্দেশনা ছিল। আমি ওই তিন এনআইডি লক করে অপারেশন্স শাখায় চিঠিটি পাঠিয়ে দিয়েছি।

এনআইডি অনুবিভাগের মানবসম্পদ গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন : এনআইডির ৪ ভুল : সংশোধন করবেন যেভাবে

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এটা নিয়ে নিউজ করার কী আছে? আমরা তদন্ত করে বের করব কে করেছে, কারা করেছে। আমরা এটা তদন্তে দিয়েছি এবং এনআইডিগুলো লক করার জন্য বলেছি। তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এসআর/এসকেডি/জেএস