নগরের বস্তি এলাকার প্রান্তিক শিশুদের জন্য খেলার সুবিধা ও বিনোদন পরিসর তৈরির জন্য কার্যকর পরিকল্পনা ও টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন অংশীজনরা।

তারা বলছেন, ঢাকাসহ বাংলাদেশের নগর এলাকাসমূহে শিশু-কিশোরদের বিনোদন সুবিধা ও খেলার মাঠের তীব্র সংকট আছে। তারপরও নগর এলাকার বস্তিসহ অনানুষ্ঠানিক বসতির শিশুদের জন্য এ ধরনের শিশুবান্ধব স্থানের সংকট সবচেয়ে তীব্র। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বস্তি এলাকায় শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য অপরিহার্য খেলার মাঠ, বিনোদন সুবিধাদির সুযোগ না থাকার কারণে শিশু-কিশোরদের অনেকেই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি), সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ, ভূমিজো ও সিপ আয়োজিত ‘নগরের অনানুষ্ঠানিক বসতির প্রান্তিক শিশুদের জন্য শিশুবান্ধব বিনোদন স্থানের পরিকল্পনা’ শীর্ষক অংশীজন পরিকল্পনা সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সংলাপে অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ঢাকা শহরের অনেক গণপরিসর ও বিনোদন সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পর আগের ব্যবহারকারীরা কেন আর এ সব খেলার মাঠ, পার্ক অবাধে ব্যবহার করতে পারছে না সে ব্যাপারে এ ধরনের প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত পেশাজীবীদের দায় দায়িত্ব নিতে হবে।

আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা শহরের সকল বস্তি এলাকায় ন্যূনতম একটি করে হলেও শিশুবান্ধব পরিসর তৈরি করার জন্য একটা পরিকল্পনা এখনই প্রণয়ন করা দরকার। সরকারের আন্তরিক আগ্রহ থাকলে স্বল্প ব্যয়েই প্রকৃতি ভিত্তিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দিয়ে এই ধরনের টেকসই ও কার্যকর পরিসই তৈরি করার মাধ্যমে প্রান্তিক শিশুদের বিনোদন ও স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাশেম বলেন, ঢাকা শহরে গণপরিসর তৈরিতে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের আন্তরিক আগ্রহ রয়েছে নগরের প্রান্তিক শিশুদের জন্য বিনোদন সুবিধা ও পরিসর তৈরি করার।

অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের গাউস পিয়ারী, সিপর আফসানা আসাদ, সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার, ব্র্যাক-ইউডিপির আবু সায়েম আরিফ, এসসিআই'র কামরুন নাহার আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আশিষ দাস গুপ্ত প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি