ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেলো। এখনো স্থানান্তরিত হয়নি। আমি আশা করব, ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, আমাদের শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য ঘর, গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরাতন ঢাকার বিপজ্জনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখল মুক্ত করে ওড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে আমরা এখানে কাজ করব। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনো ধরনের অবকাঠামো চায়, এসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনো কার্যক্রম নেওয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না।

এ সময় বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজকেই সেখানে যান তাহলে দেখতে পাবেন যে, ওই এলাকার সকল মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের খাওয়াদাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেওয়া হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আজিজুল হক, সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদ প্রমুখ।

এএসএস/এসকেডি