নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি প্রতিবাদী হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে সরকার শতভাগ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
 
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজে ভেজাল খাব না, অন্যকেও খেতে দেব না। অনেকে আছে, না বুঝে অনিরাপদ খাদ্য খাচ্ছে। অনেকে জ্ঞান ও সাহসের অভাবে চুপ করে থাকেন। এসব জায়গায় প্রতিবাদ করতে হবে। নিজে ঠিক থাকতে হবে, পরিবার-সমাজকেও ঠিক রাখতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য অনিরাপদ যেকোনো সময় হতে পারে। বাজার থেকে ভেজালমুক্ত খাবার এনে বাসার টেবিলেও তা অনিরাপদ হতে পারে। কিন্তু আমরা যদি ভোক্তাদের ঠকানোর উদ্দেশ্যে খাদ্যে ভেজাল মেশাই তাহলে আমরা জ্ঞানপাপী হয়ে যাই। নিজের জায়গায় ঠিক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের আস্থা তৈরি করেছিলেন। তিনি অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। যে জাতি এতগুলো ধাপ পেরিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছিল তারা আরেকবার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবে না সেটা বিশ্বাস করা যাবে না। আমাদের কিছু সমস্যা আছে। যখন ভোজ্যতেলের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়েছে এখন মানুষ সরিষা চাষ করছে। বাংলাদেশের মানুষ পারে না এমন কিছু নেই।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য-সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।

খাদ্য সচিব তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার তবে এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এটা কেবল সরকারি সংস্থা বা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমদানি রপ্তানি ঠেকানোর জন্য নয় দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়ন করা জরুরি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক নিরাপদ খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও সাবেক কোডেক্স চেয়ারম্যান সনজয় দাভে এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ।

এসএইচআর/এসকেডি