চারমাস ধরে একটি বেসরকারি ভেটেরিনারি মেডিসিন ফার্মে ‘হেড অব মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস’ পদে চাকরি করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আলোচিত সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এই কোম্পানিতে মাসিক ৮০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ হয়নি বলেও জানিয়েছেন শরীফ।

আরও পড়ুন>>চাকরি হারালেন আলোচিত দুদক কর্মকর্তা শরীফ

এই চাকরির পাশাপাশি নামকরা একটি এনজিওতে ‘প্রোপোজাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার’ পদে দায়িত্ব পালন করছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাস থেকে এই দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন বলে দাবি করেন শরীফ। তবে সেই দুটি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ-খবর নিতে পারেনি ঢাকা পোস্ট। যদিও প্রমাণ হিসেবে এই প্রতিবেদকের কাছে অফিস করার বেশ কিছু ছবি সরবরাহ করেছেন শরীফ।

আরও পড়ুন>>চাকরি ফিরে পেতে রিট করলেন দুদকের শরীফ

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শরীফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাদের কারণে আমি চাকরি হারিয়েছি তারা বেশ শক্তিশালী। এই সিন্ডিকেটটি চায় না আমি দেশে থেকে ভালো কিছু করি। বিডি জবসে আবেদন করে সাক্ষাৎকার দিয়েও দুদকের আলোচিত শরীফ বিষয়টি জানার পর চাকরি হয়নি। দোকান করার বিষয়ে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ৩৫টি কোম্পানি চাকরির অফার দিয়েছে। এর মধ্যে এই দুটি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেই। 

আরও পড়ুন>>দুদকের শরীফকে অপসারণ : ১০ আইনজীবীর রিট খারিজ

তিনি বলেন, এই দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি জানলে ওই শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমার প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করত। সেজন্য গত চারমাস চাকরি করলেও প্রকাশ করিনি। একটি মিডিয়া বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর বাধ্য হয়ে চাকরি করার বিষয়টি বলতে বাধ্য হয়েছি।

আরও পড়ুন>>অপসারিত দুদক কর্মকর্তা শরীফের চাকরি ফেরতের আবেদন নাকচ

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে শরীফ লেখেন, তখন যদি ওই বিশেষ মিডিয়ার মালিকের আত্মীয়ের বিরুদ্ধে মামলা না করতাম, তাহলে আজ এই দুর্বল স্ক্রিপ্ট জয়েন্ট ভেঞ্চারে আসত না। তদন্তনাধীন ও বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়। মামলা করার পর থেকে ওই বিশেষ মিডিয়াটি আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তবে ওই বিশেষ মিডিয়া বাদে সব মিডিয়া শুরু থেকে পাশে ছিল বলে আমার এখনো কিছু হয়নি। ভালোবাসি দেশকে ও দেশের মানুষকে। আল্লাহ সবাইকে নিরাপদে রাখুক।

আরও পড়ুন>>অভিযোগের বিষয়ে অপসারিত দুদক কর্মকর্তা শরীফের যত ব্যাখ্যা

একই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আর হ্যাঁ, সংবিধানে কারও ব্যক্তিগত আলাপ প্রচার না করার অধিকার দিয়েছে। তাও কেটে কেটে প্রচার করেছে মিডিয়াটি। যেখানে আমার ঘুষ লেনদেনের কোনো তথ্য নেই। হয়ত সামনে প্রচার করবে শ্বশুরের বাড়িটি আমার। ফ্ল্যাটটি আমার। আমার গাড়ি আছে, বাড়ি আছে। বিচারের জন্য আজ প্রায় দুই বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। সামনে আমার মামলার রায় আছে। ওই রায়ে যাই হোক, আমি মাথা পেতে নেব। তবে মামলার রায়ের আগে এ ধরনের মনগড়া সংবাদ খুবই ব্যথিত করেছে।

এমআর/কেএ