একাত্তরের চেতনা দুর্বল হয়ে গেছে : চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম বলেছেন, একাত্তরে যে চেতনার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে পুরো জাতি এক হয়ে লড়েছিল সে চেতনা আজ দুর্বল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণের পর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্ষমতা দখল করে। তারা জনগণ বিশেষ করে শিশুদের মগজ ধোলাই করে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। মিথ্যার প্রাসাদ ভেঙে জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনর্জাগরিত করতে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে চসিকের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছে বই। এজন্য চট্টগ্রামবাসীর হাতে-হাতে বই তুলে দিতে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি যারা সাইনবোর্ডে বাংলা ব্যবহার করছেন না, তারা দ্রুত বাংলা ব্যবহার করুন।
বিজ্ঞাপন
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বই বর্তমানের সঙ্গে অতীত আর ভবিষ্যতের মধ্যে সেতুর কাজ করে। ভাষার মাসের এ বইমেলার আয়োজন সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা ও বই মেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু)।
জানা গেছে, মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন।
এবারও মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্নার। লেখক আড্ডাসহ নারী কর্নার এবং ওয়াইফাই জোন থাকবে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত থাকবে। কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে। মেলা মঞ্চে প্রতিদিনই নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৩০০ বর্গফুটের সুবিশাল আয়তনজুড়ে মোট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪০টি। এর মধ্যে ডাবল স্টল ৩২টি এবং সিঙ্গেল স্টল ৭৬টি। চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকার সৃজনশীল অভিজাত প্রকাশনী সংস্থাগুলো মেলায় অংশ নিচ্ছে এবং তাদের স্টলও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ মোট ১০৮টি প্রকাশনা সংস্থা মেলায় অংশ নিচ্ছে।
এমআর/এসকেডি