রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কি ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করলেন? এ প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনে বুধবারের ব্রিফিংয়ের পর। 

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্বের বিষয়ে বেশ বিরক্তির সুরে কথা বলেন সিইসি।

গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন দুদকের আইন অনুযায়ী কমিশনাররা রাষ্ট্রের লাভজনক পদে যেতে পারেন না। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যখন এটা করেছে, তখন আইন-কানুন জেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে সাহাবুদ্দিনের আইনগত বাধা নেই: ইসি আলমগীর

আজ এ বিষয়ে কথা বলতে অনেকটা জরুরি ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সিইসি। কারণ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সমস্ত বিষয়ের দায়দায়িত্ব সিইসির ছিল।

আরও পড়ুন : নিয়োগ-নির্বাচন এক নয়, আমিও নির্বাচন করতে পারব : সিইসি

সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বিরক্তির সুরে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী, সংবিধান, সহায়ক আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী আমাদের এই নির্বাচনটি পরিচালনা করতে হয়। আমরা তফসিল করেছিলাম। তফসিল অনুযায়ী ১২ তারিখে মনোনয়ন পেয়েছি। বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। বাছাইয়ের কাজটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার তথা নির্বাচনী কর্তার একক এবং অবিভাজ্য। এটা কমিশনের কোনো দায়িত্ব ছিল না। দায়-দায়িত্ব, ভুলভ্রান্তি সবকিছুর দায়ভার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এককভাবে নিতে হবে। যেহেতু বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর একটি একক ও অবিভাজ্য দায়িত্ব অর্পিত ছিল। তাই আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাম নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কিছু কিছু উত্থাপিত বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনের সুবিধার্থে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন আবশ্যক মনে করছি।’

সিইসির এখতিয়ারভুক্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীরের গণমাধ্যমে কথা বলা নিয়ে কি তাহলে সিইসি বিরক্ত হলেন?

এসআর/এসএম