ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন। সফরে তিনি বাংলাদেশকে ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ পলিসির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সফরকালে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি, বাংলাদেশকে ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট পলিসি’র একটি অপরিহার্য অঙ্গ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র মূল অংশীদার হিসেবে তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন।

পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং তাকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে শুভেচ্ছা জানান।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফরেন অফিস কনসালটেশন চলাকালে পররাষ্ট্র সচিব খাতরা ও পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এই সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। উভয় পক্ষই ভারত সরকারের অর্থায়নে রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিট, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা এবং মানুষে-মানুষে বন্ধনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। তারা যৌথ স্বার্থের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সহযোগিতা ও পরামর্শ বাড়াতে সম্মত হয়েছেন। 

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের জি-২০’র প্রেসিডেন্সি চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের ব্যাপারে ভারত ভীষণভাবে উন্মুখ। উভয় পক্ষই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের জন্য আসন্ন প্রার্থিতার ব্যাপারে পারস্পরিক সমর্থন প্রদান করতে সম্মত হয়েছে বলে জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিশেষ করে গত দশকে ভারত ও বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় পর্যায়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চ সম্পৃক্ততা বজায় রেখেছে। পররাষ্ট্র সচিবের সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে সাহায্য করেছে। 

সময়ের সাথে পরীক্ষিত তাদের এই সম্পর্ককে পুনরায় বলবত করেছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি ব্যাপকভাবে পর্যালোচনার সুযোগ দিয়েছে।

এনআই/ওএফ