ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি)। 

ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় ৮ লাখ ৭১ হাজার ১৯ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ডিএনসিসির মোট এক হাজার ৯০৫টি কেন্দ্র থেকে এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ ক্যাম্পেইন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশান নগরভবনে আয়োজিত এক সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান এ তথ্য জানান।  

আরো পড়ুন >> সোমবার সারাদেশে দিনব্যাপী ভিটামিন ‌‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে ডিএনসিসির প্রস্তুতির বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অণুপুষ্টি। এই ভিটামিন চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্ত শূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।

এ সময় সভায় উপস্থিত ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, একটা সুস্থ জাতি গড়ে তোলা না যায়, তারা জাতীয় জীবনে অবদান রাখতে পারেনা। তাই সুস্থতা অপরিহার্য। আমাদের এই কার্যক্রমে বস্তিসহ পথশিশুদের সুযোগ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে সভা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন সবকটি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চলাকালে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. এমদাদুল হক প্রমুখ।

এএসএস/জেডএস