গুলশানের আগুন লাগা ভবনের ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পৌঁছাতে দেরি হওয়ার কারণে লোকজন ভবনটি থেকে প্রাণে বাঁচতে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রোববার রাত সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটির ১১-১২ তলায় আগুনে তীব্রতা প্রচণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময় ভবনটি থেকে কয়েকজন আটকে পড়া মানুষজনকে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বাঁচার আকুতি জানাতে দেখা গেছে।

কিন্তু আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ইক্যুপমেন্টের অভাবে ব্যর্থ হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। কোনভাবে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা আটকে পড়া লোকজনদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফায়ার সার্ভিস যে দুটি টি-টেল ঘটনাস্থলে নিয়ে এসেছে সেগুলো দিয়ে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। সেগুলো ব্যবহার করে আপাতত পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে ঘটনাস্থলে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেখা যাচ্ছে। তবে কোনও মানুষজনকে ওপর থেকে নামিয়ে আনতে আর দেখা যায়নি।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সজন ও স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে গেছেন। তারা বারবার ফায়ার সার্ভিসের কাছে দাবি জানাচ্ছেন তারা যেন দ্রুত আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার করে নিচে নিয়ে আসে।

এদিকে আটকে পড়ার লোকজনের স্বজনরা নিচে আহাজারি করছে তাদের স্বজনদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার জন্য। আধা ঘণ্টা আগেও যেসব স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারা গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে এখন আর ফোনে কথা বলা যাচ্ছে না। তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। স্বজনদের আশঙ্কা ঘটনাস্থলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে গেছেন।

এমএসি/এসএম