জেড. এইচ. শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর গুলশান ২-এ বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ওই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হওয়া একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলশানের জেড. এইচ. শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সংকটাপন্ন অবস্থায় আরেকজনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার সকালে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন শিকদার মেডিকেলের  প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান। 

নিহত রাজু (৩৮) ওই ভবনে ১২ তলায় একমি কোম্পানির এক কর্মকর্তার বাসায় কাজ করতেন। সেখানে তিনি বাবুর্চির কাজ করতেন।  

গতকাল সন্ধ্যায় ভবনটিতে আগুন লাগার পর রাজু  নিচে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তাকে জেড. এইচ. শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ৩টার দিকে রাজু মারা যায়। রাত ৩টা ৪৬ মিনিটে রাজুর নিথর মরদেহ গাজীপুর কালীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার। 

রাজুর ছোট ভাই সজিব এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, কালীগঞ্জ নাগরি গ্রামের বাড়িতে মরদেহ নেওয়া হয়েছে। সেখানে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। 

সজিব আরও জানান, রাজুর স্ত্রীর নাম সুমি। তাদের দুই সন্তান। বড় মেয়ের বয়স ১৩, ছোট ছেলের বয়স ৯ বছর। 

এ নিয়ে গুলশানের আগুনের ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেল। রাতে আনোয়ার হোসেন নামে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আনোয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন। 

আক্তারুজ্জামান বলেন, বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে কেউ ভর্তি নেই। তবে সব মিলিয়ে ৭ জন রোগী আমাদের এখানে আসেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে আরেকজনকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। 

জেইউ/টিআই/এনএফ