গুলশানে আগুনের মাত্রা অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আগুনের মাত্রা খুবই বেশি ছিলো। আগুনের মাত্রা অনুযায়ী বলা যায়, মৃত্যু অন্তত ৫০ জনের বেশি হতো। তবে আমাদের ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতায় আমরা ক্ষয়ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছি।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এডুকো বাংলাদেশ ও উত্তরণ আয়োজিত 'বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও বস্তি এলাকায় বসবাসরত মানুষের জীবিকা ও বিকল্প সমাধানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব' গবেষণার ফলাফল শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মিজানুর রহমান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত গতকাল আমি সারাক্ষণ সেখানে ছিলাম। আমি দেখেছি আমাদের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কীভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। শেষ পর্যায়ে সেনাবাহিনী এসে যোগ দিয়েছে, ফলে উদ্ধার কাজে গতি বেড়েছে। এজন্য উদ্ধারকর্মীরা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

তিনি বলেন, আগুন লাগা ভবনটায় ইমার্জেন্সি কোনো সিঁড়ি ছিলো না। যদি থাকতো তাহলে লাফিয়ে পড়ে একজনকেও মারা যেতে হতো না। এজন্য এখন থেকে যারাই বাড়ি বানাবেন, অবশ্যই জরুরি নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন।

মহাপরিচালক বলেন, আমরা কমমূল্যে বিল্ডিং বানাতে চাই, যে কারণে নিরাপত্তায় খুব বেশি গুরুত্ব দেই না। শুধু আগুন নয়, ভূমিকম্পের দিক থেকেও বাংলাদেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। তুরস্কের ঘটনায় আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তবে শুধু আমাদেরকে দুশ্চিন্তা করলেই হবে না, এক্ষেত্রে জনগণকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

টিআই/জেডএস