শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ ছিল সরকারি ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে বাড়তি একদিন ছুটি পেয়েছে রাজধানীবাসী। তাই আজ পরিবার পরিজন নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলে।

কেউ এসেছেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে, কেউবা বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন, স্বজনকে নিয়ে। কেউ কেউ হাতিরঝিলে এসে যুক্ত হয়েছেন বন্ধুদের দলে। কারও পরনে ছিল সাদা কালো শাড়ি, কেউবা শরীরে জড়িছেন কালো পাঞ্জাবি। ছোট থেকে মধ্যে বয়সী অনেকেই মাথায় শোভা পাচ্ছে পতাকার ব্যান্ড, গালে রাঙিয়ে নিয়েছেন একুশের বার্তা। হকারদের হাতে হাতে ছোট ছোট পতাকা, বেলুন, পতুল, বাঁশি আর নানা খেলনা।

যারা হাতিরঝিলে আসা বিনোদনপ্রেমীদের কেউ কেউ ভিড় করছেন রেস্টুরেন্টে, অনেকেই পরিবার নিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরছেন হাতিরঝিল লেকে। সব মিলিয়ে ছুটির দিনের বিকেলে ভিন্ন এক রূপ পেয়েছে হাতিরঝিল।

রাজধানীর মিরপুর থেকে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মিজানুর রহমান বলেন, রাজধানীর মানুষ যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে শুধু উপলক্ষ খোঁজে। তাই যে কোনো উপলক্ষ বা বিশেষ দিন আসলেই সবাই পরিবার বা আপনজনদের নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। আমরাও ছুটির দিনে একটু ঘোরাফেরা করতেই হাতিরঝিলে এসেছি। সকালে স্ত্রী সন্তানসহ গিয়েছিলাম শহীদ মিনারে, এখন এখানে। এভাবেই সারাদিন কেটে গেলো। আগামীকাল থেকে ফের অফিস, স্বাভাবিক জীবন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিসান আহমেদ বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন হাতিরঝিলে। তিনি বলেন, আজ ছুটির দিন ছিল, তাই বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। ওয়াটার ট্যাক্সিতে একটি রাউন্ড ট্রিপে ঘুরে রেস্টুরেন্টে খেলাম। প্রায়ই আমাদের হাতিরঝিলে আসা হয়। কিন্তু আজ একুশে ফেব্রুয়ারি সবার ছুটির দিন তাই আজ খুব বেশি মানুষের ভিড় দেখছি।

হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন পার্কের আদলে সাজানো খোলা জায়গায় ছোট বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী বিক্রি করছিলেন মাসুদুর রহমান নামে এক বিক্রেতা। আলাপকালে তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ হাতিরঝিলে আসা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। আজ যে মানুষের ভিড় হবে তা আগেই বুঝে খেলনা সামগ্রী বেশি করে এনেছিলাম। আজ বিক্রি অনেক বেশি।

এএসএস/এসকেডি