নয়াদিল্লিতে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন।
মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, প্রভাতফেরি, ভাষা আন্দোলনে নিহত বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। পরে তিনি হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস কার্যালয়ে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারে’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যে শ্রদ্ধা জানান।
বিজ্ঞাপন
এ সময়ে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবিদ খান উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পরে দূতাবাসের ‘বঙ্গবন্ধু হল’ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে. আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। দূতাবাসের মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গির, মিনিস্টার (বাণিজ্য) ড. এ কে এম আতিকুল হক প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। এ সময় আলোচনা করেন দেশবরেণ্য সাংবাদিক আবিদ খান।
হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন একটি সংগ্রামী ও বীরত্বগাঁথা ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদগণ বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার লক্ষ্যে একজন নবীন কূটনৈতিক হিসেবে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছিল এটা আমার জীবনের অন্যতম পাওয়া।
তিনি ভাষা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক অবদানের কথাও তুলে ধরেন।
বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে হাই কমিশনার ভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক, বিশিষ্টজন, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গণমাধ্যমের একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক। পরে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক দোয়া মাহফিল ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এ সময়ে মহান ভাষা আন্দোলনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্রও প্রদর্শিত হয়।
এমএ