গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পর এবার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের একতলা পাকা ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে ভিটায় দুই বেড, দুই টয়লেট, ডাইনিং ও কিচেনসহ ৬৩৫ বর্গফুটের ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেওয়া হবে।

এজন্য ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) এ প্রকল্পটিসহ সাতটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেক বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের নিয়মিত বৈঠক শুরু হয়েছে।

বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করবেন। অন্যদিকে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত আছেন। সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. জয়নুল বারী সংবাদ সম্মেলন করবেন।

একনেক কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৫ হাজার ১১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ হাজার ৮১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ৩৪৬ কোটি টাকা।
 
একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে

অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

‘রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধনীতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (আরসিসি)।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পটি একনেক সভায় উঠছে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৪৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘ইস্টাবলিসমেন্ট ডিজিটাল কানেকটিভিটি’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৮৮৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ‘পিরোজপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে একনেক সভা অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি তোলা হচ্ছে। এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এর ‘কনস্ট্রাকশন অফ নিউ ১৩২/৩৩ কেভি এন্ড ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন আন্ডার ডিপিডিসি (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

এসআর/এসএসএইচ