চশমা-টাই পরে বিড়াল করল মডেলিং
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্যাট (বিড়াল) র্যাম্প শো-২০২৩। শোতে তিনটি ক্যাটাগরিতে খাদক বিড়াল, যেমন খুশি তেমন সাজো ও র্যাম্প ওয়াকে অংশ নেয় প্রায় দুই শতাধিক বিড়াল। দেশি, মিক্সড ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের বিড়াল এতে অংশ নেয়। বিড়ালগুলোকে চশমা, রঙিন জামা ও টাই পরিয়ে বিভিন্ন সাজে সাজিয়ে এনেছেন পশুপ্রেমীরা।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে শুরু হওয়া ক্যাট শোতে প্রথমে খাদক বিড়ল প্রতিযোগিতা এরপর র্যাম্প শো ও শেষে যেমন খুশি তেমন সাজ প্রতিযোগিতা চলে। প্রতিযোগিতা বিচারক হিসেবে ছিলেন কণ্ঠশিল্পী মেহরীন মাহমুদ ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈম।
বিজ্ঞাপন
ক্যাট শো অংশ নিতে নিজের পোষা বিড়ালকে নিয়ে এসেছেন আতিকা নামের এক তরুণী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, র্যাম্পে হাঁটানোর জন্য আমার বিড়ালকে নিয়ে এসেছি। ওর বয়স দেড় বছরের কাছাকাছি। সে আমার পরিবারেরই একজন। এটি আমার বেবির মতো। মা-বাবাকে বলি- এটা তোমাদের নাতনি।
র্যাম্পে অংশ নিয়েছে হেজি, হ্যাজার্ড ও ডোরা নামের আরও তিনটি বিড়াল। হেজি পড়েছে ব্রাজিলের জার্সি। হ্যাজার্ড ও ডোরাকে আর্জেন্টিনার জার্সি পড়িয়েছেন মেফতাহ নামের আরেক তরুণী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বনশ্রী থেকে আম্মুর সঙ্গে এসেছি। অনেক কিউট কিউট বিড়াল দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।
বিজ্ঞাপন
আজিমপুর থেকে বাবার সঙ্গে এসেছেন আরাবিয়া জামান সুজানা। তিনি বলেন, টমকে (বিড়াল) নিয়ে এসেছি। টম বাইরে ঘুরতে খুব পছন্দ করে। এখানে আসার সময় নিজে থেকেই ব্যাগে ঢুকে পড়েছে। এক বছর হলো টম আমার সাথে আছে। ও মাঝে মাঝে খুব দুষ্টামি করে, তখন আমি ওকে বকা দেই। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে আমার মা টমকে আমার চেয়েও বেশি ভালোবাসে।
সিনথিয়া মরি এনি ঢাকা পোস্ট কে বলেন আমি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছি। বিড়াল আমার অনেক পছন্দের এত এত বিড়াল দেখে আমার খুব ভালো লাগছে বিশেষ করে বিড়ালদের নানাভাবে হেল্প করে আমার খুবই আনন্দ হচ্ছে। মা বিড়াল অনেক পছন্দ করতেন, মায়ের দেখাদেখি বিড়ালের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। এখন বিড়াল দেখলে আমিও তাদের আদর করি ভালোবাসি, কাছে টেনে নেই।
নোদার নামের একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিরপুর ১০ থেকে মাউকে (বিড়াল) নিয়ে এসেছি। বিড়ালটি মিক্সড ব্রিডের। তবে এটি সোমালিয়ান একটি জাত। ওর বয়স যখন একমাস তখন থেকে আমি ওকে লালন-পালন শুরু করি। নয়মাস পর ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই মধুর।
ক্যাট শোর আয়োজক আলমগীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পোষ্য প্রাণী অপরিহার্য। এই বার্তা মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশে আমাদের এই আয়োজন। প্রথমে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে অর্থনৈতিক সমস্যায় করতে পারিনি। তবে দীর্ঘ পরিকল্পনা করে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইনে ইভেন্ট ক্রিয়েট করি। পরে আমাদের ধারণার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি সাড়া পাই। বিড়ালের প্রতি মানবিক হওয়া, একটা প্রাণী তার জীবন আছে, সেও কষ্ট পায়, তাদের বাঁচার অধিকার আছে- এসব বিষয় তুলে ধরতে চাই। সবার সহযোগিতা ও আগ্রহ থাকলে ভবিষ্যতে আবারও আমরা এমন আয়োজন করব।
কেএ