দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার গণ-ছাঁটাই, পদন্নোতি, বেতন বৃদ্ধি বন্ধসহ ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংবাদপত্রটির সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দৈনিক জনকণ্ঠ ইউনিট চিফ রাজন ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অফিস কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রাজন ভট্টাচার্য বলেন, দৈনিক জনকণ্ঠে গণ-ছাঁটাই শুরু হয়েছে। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক-কর্মচারীদের ছাঁটাই করতে চায়। সোমবার তার প্রথম দফা বাস্তবায়ন হয়। প্রথম দিন ৬০ জনের ছাঁটাইয়ের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সকালে এর মধ্যে ২৬ জনকে টার্মিনেশন লেটার ই-মেইল করা হয়েছে। বিকেলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে দৈনিক জনকণ্ঠের সামনে সমাবেশ করে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষ বাকিদের টার্মিনেশন লেটার দিতে সাহস করেননি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন গত ৮ বছর ধরে দৈনিক জনকণ্ঠে কোনো পদোন্নতি, বেতন বৃদ্ধি হয় না। এখানে অধিকাংশ সাংবাদিক-কর্মচারী ওয়েজবোর্ড পান না। আট বছর ধরে একই বেতনে কাজ করতে গিয়ে সংসার চালানো দায়। আমরা আট বছর অপেক্ষা করেছি। এখন সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন, পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির দাবি করেছিলাম। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, দাবি মানা তো দূরের কথা উল্টো আমাদের ছাঁটাই করে দেওয়া হলো। যখন আমরা জাতির পিতার শত বছরের জন্মদিন পালন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি, ঠিক তখনই আমাদের পেটে লাথি মারা হলো।

জনকণ্ঠের এ সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, সোমবার সরকারের নানা মহলে যোগাযোগ করেছি। রাত ১২টায় আমরা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছি। এ সময় তিনি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। আমাদের বলা হয়েছে আগামী ২০ তারিখ সরকার, মালিকপক্ষ ও সাংবাদিক ইউনিয়ন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি।

প্রধানমন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে একসঙ্গে এত মানুষের কর্মসংস্থান করা আসলেই সম্ভব নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনি সহায়তা না করলে আমাদের পক্ষে আর কিছুই করার নেই। তাই বিষয়টি অনুধাবন করে একটি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

এইচএন/এমএইচএস