মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) পক্ষ থেকে সমুদ্রের বুকে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ৪টি ব্র্যান্ড নিউ আল্ট্রাম্যাক্স ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ার। সেগুলো হচ্ছে, এম ভি মেঘনা ভিক্টোরি, এম ভি মেঘনা প্রেস্টিজ, এম ভি মেঘনা হোপ এবং এম ভি মেঘনা প্রগ্রেস।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মাহবুব উর রহমান এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল।

৪টি জাহাজের জন্য এইচএসবিসি বাংলাদেশ সাইনোশিওর গ্যারান্টির বিপরীতে ৭১ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যবস্থা করছে। জিয়াংসু ইয়াংজি-মিতসুই শিপবিল্ডিং কোং লি. নামের জাপান ও চীনের একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি, এমজিআইর এ ৪টি ব্র্যান্ড নিউ আল্ট্রাম্যাক্স ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ার তৈরি করেছে। সমুদ্রগামী উক্ত প্রত্যেকটি জাহাজের ধারণক্ষমতা ৬৬,০০০ ডিডব্লিউটি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহনকারী এ ব্র্যান্ড নিউ আল্ট্রাম্যাক্স ড্রাই বাল্ক ক্যারিয়ারগুলো বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে জানিয়েছে এমজিআই।

দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে নির্মাণ সামগ্রী, অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিপিং, এভিয়েশন, কেমিক্যালস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কাগজ ও টিস্যুসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ রয়েছে। ৫২টি শিল্প কারখানায় প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে এমজিআই দেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতি ২টি পরিবারের ১টি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করছে।

এফকে