রাজধানীসহ মহাসড়কে প্রস্তাবিত মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১ মার্চ) জাতীয় সংসদের বিপরীতে সেচ ভবনের সামনে সবর্স্তরের বাইকাররা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় কয়েকশ বাইকারকে মোটরসাইকেলসহ ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করতে দেখা যায়।

মানববন্ধনে বাইকাররা বলেন, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না।মহাসড়কে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিমি। মহাসড়কে চালক ব্যতীত কোনো আরোহী পরিবহন করা যাবে না। ঈদ ও উৎসবের ১০ দিন আগে-পরে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। যা আমাদের কাছে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক ও অবাস্তব মনে হয়েছে। যেখানে একটি রিকশার গতিসীমা ৩০ কিমি, সেখানে বাইকের গতিসীমা ৩০ গ্রহণযোগ্য নয়।

বক্তারা আরও বলেন, মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ তরুণ উদ্যোক্তা, যারা সাধারণত ১২৫ সিসি বা তার চেয়ে কম সিসির বাইক ব্যবহার করে থাকে। সেক্ষেত্রে মহাসড়কে ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল চলতে না দেওয়া হলে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। আমাদের দেশে ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে মোটরসাইকেলের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। সে সময় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে সামগ্রিক অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলবে। তাই প্রস্তাবিত নীতিমালাগুলো পর্যালোচনার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এসময় মানববন্ধনকারীরা জানান, নীতিমালা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আগামী ৫ মার্চ বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী বরাবরও স্মারকলিপি পেশ করা হবে।

ওএফএ/এসএম