ছবি : সংগৃহীত

০১ মার্চ ২০২৩।

ভোক্তা পর্যায়ে মাসে মাসে বাড়ছে বিদ্যুতের দাম। এবার বাড়ল আরও ৫ শতাংশ। এতে তিন মাস ধরে প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন খরচ। শুধু তা–ই নয়, বাজার চড়ে থাকা নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। এখন বাড়বে আরও। সব মিলিয়ে বাড়তি খরচের চাপ সামলাতে আরও হিমশিম খাবেন ভোক্তারা। এর পাশাপাশি আজকের জাতীয় দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো একবার দেখে আসি—

প্রথম আলো

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে সংসার খরচ আরও বাড়বে

দেশের প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কিনে নেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয়।

ফের বাড়ল খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। এবার বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে চলতি বছরে দুই মাসের ব্যবধানে তিন দফায় ১৫ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়াল সরকার।

যুগান্তর

ফের ৫ শতাংশ বাড়ল বিদ্যুতের দাম

গত ৩১ জানুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগ পাইকারি ও খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই দাম ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও পড়ুন >>> দুদক, দুর্নীতি ও দুর্নীতিবাজ 

ভারতের শিল্পগ্রুপ আদানির কাছ থেকে অন্তত ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ না নিলে জরিমানা গুনতে হবে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রিতে অন্যায্য সুবিধা পাচ্ছে আদানি। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির চুক্তিপত্র ঘেঁটে এ রকম তথ্য পাওয়া গেছে।

সমকাল

আদানির সঙ্গে অসম চুক্তি ক্ষতির মুখে পিডিবি

১৬৭ পৃষ্ঠার চুক্তিপত্রে দেখা যায়, আদানিকে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিককে সেই সুবিধা দেওয়া হয়নি। ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি থেকে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসার কথা।

গর্ভে পূর্ণ সময় থাকার আগেই শিশু জন্মানোরও একটি কারণ বায়ুদূষণ। এ দূষণের শিকার মায়েদের মধ্যে কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার হার বেশি।

প্রথম আলো

ঢাকায় কম ওজনের শিশু জন্মের কারণ বায়ুদূষণ

ঢাকায় সন্তানসম্ভবা মায়েদের ওপর বায়ুদূষণের বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রাজধানীতে জন্ম নেওয়া ৩ হাজার ২০৬টি নবজাতককে নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় বেশি বায়ুদূষণের শিকার মায়েদের মধ্যে কম ওজনের শিশু জন্ম দেওয়ার হার বেশি। অকালে সন্তান জন্মদানের ঝুঁকিও তাঁদের মধ্যে বেশি।

আরও পড়ুন >>> ঢাকার বায়ু দূষণ কমাতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ 

আমদানি-রফতানিতে ধীরগতি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বছরের শুরুতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আয় কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে শুল্ক আহরণে, জানুয়ারি পর্যন্ত যা ১১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।

বণিক বার্তা

জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি ১৭ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা

বৈশ্বিক মন্দার পূর্বাভাসের কারণে দেশের অভ্যন্তরে অর্থনীতি কিছুটা শ্লথগতিতে আছে। এসব কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে রাজস্ব আয় হচ্ছে না। এনবিআর কর্মকর্তারা যদিও আশা করছেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য আবারো গতি পাবে। তখন রাজস্ব আয়ও বাড়বে।

এছাড়া চাপে দুই শরিক দল নির্লিপ্ত অন্যরা; উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়ছে ১০ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা; কারাগারে উগ্রবাদ ঠেকানোর সামর্থ্য কম; সংকটেও বৈদেশিক ঋণের প্রকল্পে কাটছাঁট; জমি অধিগ্রহণ না করেই খাল খনন সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।