পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের খেসারত দিচ্ছে জনগণ। রেকর্ড মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের দুর্ভোগ এখন চরমে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বৃদ্ধি করেছে। এখন ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকার জনগণের দুর্ভোগের তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে। গতবছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিছুদিন আগেই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। ভোজ্যতেল ও সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের দ্রব্যের দাম এখন জনগণের নাগালের বাইরে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতিটি জিনিসের দাম আবারও বৃদ্ধি পাবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সরকার ও সরকারি দলের মদদপুষ্টদের লুটপাটের খেসারত দিচ্ছে সাধারণ জনগণ। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন ও দফায় দফায় এর মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে কেবলমাত্র ক্ষমতাসীনদের অনুগত এবং মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আয়ের পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

মান্না বলেন, কোনো বিদ্যুৎ না নিয়েই গত ১১ বছরে সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। গত ৩ বছরেই দেওয়া হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা। এই স্বজনতোষী ব্যবস্থার বৈধতা দিতে সংসদের মাধ্যমে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। আর এই লুটপাটের টাকার সংস্থান করতে গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১২ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।

বার্তায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সরকারের অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সব বিরোধী শক্তির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এমএইচএন/কেএ