ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের দাবি
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। সেইসঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৩ মার্চ) বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচির অংশ হিসেবে কারওয়ান বাজার এলাকায় সমবেত হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পদযাত্রা করেন তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সুইডিস জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের গড়ে তোলা স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের আহ্বানে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) যৌথভাবে এই জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন করে। নানা ধরনের দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে দুই শতাধিক তরুণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন একটি জটিল সময় পার করছে। যা ইতিমধ্যে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে। উন্নত দেশগুলোকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ এ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এখনই উদ্যোগী হতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য বায়ুদূষণ হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য এখনই জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখতে হবে, জলবায়ু সংকট আর বায়ু দূষণ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি সেটা বোঝার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। জলবায়ু দুর্যোগজনিত ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়। আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি দূষণকারী দেশগুলো থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
এএসএস/কেএ