চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফেঅরণেল ঘটনায় আহতদের নিয়ে আসা হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে।সাইরেন বাজিয়ে একের পর এক আসছে অ্যাম্বুলেন্স। আহতদের বেশিরভাগের শরীরের বিভিন্ন অংশ উড়ে গেছে।

হাসপাতালের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, আগে থেকে স্বজনদের অনেকে এসে জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের কান্না ও চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিবেশ।

আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। 

তিনি বলেন, আমি নিজে জরুরি বিভাগে চলে এসেছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। তারা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন। হাসপাতাল থেকে আমরা ওষুধ, স্যালাইন ও ইনজেকশন দিচ্ছি। 

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকায় ‘সীমা অক্সিজেন’ প্ল্যান্ট নামে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ, কুমিরা ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত অবস্থায় ১৮ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিহতদের মধ্যে চারজন হলেন শামসুল আলম (৬৫), ফরিদ (৩৬), রতন লকরেট (৪৫), আব্দুল কাদের (৫৬)। অপর ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আহত ১৮ জন হলেন- ১. ফোরকান আলী (৩৩), ২. মো. নূর হোসেন (৩০), ৩. মোতালেব (৫২), ৪. মো. আরাফাত (২২), ৫. মাকসুদুল আলম (৬০), ৬. মো. ওসমান (৪৫), ৭. মো. সোলায়মান (৪০), ৮. মো. রিপন (৪০), ৯. মো. আজাদ, ১০. মো. রিপন মারুফ (৬০), ১১. প্রবেশ (৪০), ১২. নারায়াণ ধর (৬৪), ১৩. মো. জসিম (৫০), ১৪. ফেন্সি (২৬), ১৫. মো. জাহেদ (৩০), ১৬. মুজিবুল হক (৪৫), ১৭. রোজী বেগম (২০) ও ১৮. নাসিম শাহরিয়ার (২৬)।

এমআর/জেডএস