রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের ভবনটিতে ৪টি কারণে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা বলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।  

তিনি বলেন, বিল্ডিংয়ের অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, বিল্ডিংয়ের অবস্থা ভালো নয়। ভবনটির তিনতলায় ছোট ছোট কয়েকটি অফিস ছিল এবং একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির অফিস ছিল। যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমি মনে করি এই মুহূর্তে ভবনটিতে কারো প্রবেশ করা উচিৎ হবে না। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছি, পরিদর্শন করেছি। 

বিস্ফোরণের পর পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চারটি কারণে এখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। সেগুলো হলো শর্ট সার্কিট, জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা এসি বিস্ফোরণ। তবে এই মুহূর্তে সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষ হলে সঠিক কারণ জানা যাবে।

হতাহতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পপুলার হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে ১২ থেকে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।  

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের পর তাদের পপুলার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান, তুষার।   

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর দগ্ধ হওয়া ছয়জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

এমএসি/এনএফ