চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাউজানের ফারাজ করিম চৌধুরী। তিনি আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম দিচ্ছেন। এছাড়াও নিহতদের দাফন ও বাড়িতে পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একটি অস্থায়ী বুথ দেখা গেছে। ফারাজ করিম চৌধুরীর সৌজন্যে বসানো বুথটি থেকে ওষুধ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য পাখা দেওয়া হয়েছে। তিন তরুণ মো. রাজিব, ফারহান রেজা ও মো. আসিফ বুথটিতে দায়িত্ব পালন করছেন।

তারা জানান, বিস্ফোরণের পর ফারাজ করিমের নির্দেশে শনিবার সন্ধ্যা থেকে অস্থায়ী বুথ বসিয়ে এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। রোগীদের স্বজনরা যোগাযোগ করলেই চাহিদা মোতাবেক চিকিৎসার সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। 

বুথে দায়িত্ব পালন করা স্বেচ্ছাসেবী মো. ফারহান রেজা ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম না, নিহতদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে অ্যাম্বুলেন্স এবং দাফনের সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তা লাগলেও দেওয়া হবে।

ফারাজ করিম চৌধুরী চট্টগ্রামের রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর ছেলে। অতীতে তিনি সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে সহায়তা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সহায়তা দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। সম্প্রতি তুরস্কে সংগঠিত ভূমিকম্পের পর সেখানেও তিনি ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছেন।

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধিকে।

এমআর/ওএফ