চট্টগ্রামে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ এবং রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

বারবার একই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা একটি কমিটি গঠন করে উক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কার্যকারী ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ ধরনের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করা সম্ভব হবে বলে কমিশন মনে করে।

রোববার (৫মার্চ) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে পাশের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিছুদিন পূর্বে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে একই ধরনের বিস্ফোরণে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়। একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

কমিশন মনে করে, এসব ঘটনায় কোম্পানিগুলোর যেমন দায় রয়েছে একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠাগুলোও এর দায়ভার এড়াতে পারে না।  

জেইউ