বেসিসের সাবেক সভাপতি আলমাসের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ’— শিরোনামে গতকাল রোববার (৫ মার্চ) ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি ‘অসত্য ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে উপর্যুক্ত বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষে সোমবার (৬ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর কর্তৃক প্রেরিত এক মেইল বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০১ সালে দেশের মেট্রোপলিটন এলাকাসমূহে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশে প্রথম মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৫১ শতাংশ মালিকানা নিয়ে ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বনামধন্য উদ্যোক্তা রহিমআফরোজ গ্রুপের নেতৃতে বিগত প্রায় ২০ বছর ধরে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তথ্যপ্রযুক্তিতে সর্বসাধারণের অভিগমন সহজীকরণে বিশেষ অবদানের অংশ হিসেবে আমাদের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, স্থানীয়-বহুজাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, স্টক এক্সচেঞ্জ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, বিদেশি দূতাবাস ও দাতা সংস্থাসহ চার সহস্রাধিক সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

‘সম্প্রতি আদালতের আদেশ অমান্য করে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক নামের একজন নিজেকে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি করে আসছেন। তিনি তার সহযোগী ফেরদৌস আজম খান ও ফারাহ ইসলামের যোগসাজশে মহামান্য উচ্চ আদালতের বিচার প্রক্রিয়াকে অবজ্ঞা করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে এই প্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে ইতোমধ্যে সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ (বুধবার) তার আরেক সহযোগী মাহবুবুল আলমের প্ররোচনায় ফেরদৌস আজম খান ১০/১২ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের বনানীস্থ ডাটা সেন্টার কার্যালয়ে হামলা করেন। হামলা করে তারা মূলত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, ই-পাসপোর্ট সেবা এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক-বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডাটা সংযোগ সার্ভিস বন্ধ করার মাধ্যমে রহিমআফরোজ গ্রুপকে মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালনায় অক্ষম হিসেবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করেছিলেন। পাশাপাশি বর্ণিত ব্যক্তিগণ মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে ভুয়া ডোমেইন চালু করেন এবং তা আমাদের ক্রেতা ও সেবাগ্রহীতাদের মাঝে প্রচার করে প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।’ 
 
মেইল বার্তায় আরও বলা হয়, ‘মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক আদালতের আদেশ অমান্য করে নিজেকে মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দাবি করে গতকাল রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন অসত্য ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা দাবি ও তথ্য পেশ করেছেন। আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় এরূপ মিথ্যা দাবি-সম্বলিত সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন আদালত অবমাননার শামিল।

উপর্যুক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে— এমন আশা ব্যক্ত করা হয় মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে।
 
এমএআর/