রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবন বিস্ফোরণের ঘটনায় ঘটনায় শতাধিক আহত মানুষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তিনি জানান, যেসব মরদেহ এসেছে সেগুলো রক্তাক্ত, প্রচুর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। 

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বলেন, একশর বেশি আহত মানুষ আসছে। আমরা ওইভাবে ভর্তি করতে পারিনি। এখন শুধু চিকিৎসা দিচ্ছি। টোটাল কাউন্ট করতে আমাদের একটু সময় লাগবে। 

তিনি বলেন, এমনিতেই ক্রাউডেড। এরমধ্যে ১০০ জন চলে আসছে। ১০০ জনের জায়গা করাও তো সময়ের ব্যাপার। যাইহোক আমরা করছি। আমাদের এখানে যে সুযোগ-সুবিধা আছে, সব আমরা কাজে লাগাচ্ছি। আমাদের ডাক্তাররা সবাই আছেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আহত যারা আসছে তাদের কী অবস্থা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব মরদেহ আসছে আমি দেখেছি এরা সবাই মাল্টিপল ফ্রাকচার, হেড ইনজুরি, রক্তাক্ত, প্রচুর ইনজুরি হয়েছে তাদের। এটা বুঝা যাচ্ছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সে ভিত্তিতেই চিকিৎসা চলছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আহত মানুষদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ভেতরে প্রবেশ করছে। জরুরি বিভাগের সামনে থেকে শুরু করে বাইরের সড়ক পর্যন্ত আহত এবং নিহতদের স্বজনদের আহাজারি চলছে।

ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার ও নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের কর্মীরা হতাহতদের সেবা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর হতাহতদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনা আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শবর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত বিস্ফোরণের আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যে যেভাবে পারছে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

এসএইচআর/এমএসআই/ওএফ